সাধারণভাবে নারীদের তুলনায় পুরুষদের নাক বড়। এর একটি কারণ হতে পারে
পুরুষদের নাকে মাংসপেশি পেশি। এর ফলে তারা নাক দিয়ে বেশি অক্সিজেন গ্রহণ
করতে পারে। নতুন এই তথ্য হয়তো এই রহস্য উন্মোচন করতে সাহায্য করবে যে কেন
নিয়েন্ডারথেল মানুষদের নাক বেশি বড় ছিল।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, একজন মানুষের নাক দেখে বোঝা যেতে পারে সেই মানুষটির
কি পরিমাণ অক্সিজেন গ্রহণ করা প্রয়োজন। বিভিন্ন সময়ে প্রাচীন মানুষদের
দেহের কঙ্কাল পাওয়া গিয়েছে। যেগুলো থেকে জানা যায়, প্রাচীন মানুষের দেহের
আকৃতি ছিল আধুনিক মানুষের তুলনায় অনেক বড় ছিল। আর বিশাল দেহ হওয়াতে তাদের
দেহে অক্সিজেনও বেশি লাগতো। আর এই অধিক পরিমাণ অক্সিজেন গ্রহণের জন্য তাদের
নাকও সেইভাবেই গঠিত ছিল-বেশ বড় আকারের।
এদিকে বেশ কিছুদিন আগে আধুনিক মানুষদের নিয়ে চালানো গবেষণায় উঠে এসেছে
যে, পুরুষদের নাক সাধারণভাবে নারীদের তুলনায় বড়। নাকের ছিদ্র বা নাসারন্ধ্র
ও নাকের ভেতর দিয়ে বাতাস চলাচলের স্থানটুকুও বড়।
এছাড়া নাক দিয়ে শ্বাস-প্রশ্বাস চলাকালীন সময়ে নারীদের তুলনায় পুরুষরা
অনেক বেশি অক্সিজেন গ্রহণ করে। যদিও এর উপর নাকের দৈর্ঘ্য নির্ভর করে কিনা
সেটি এখনো নিশ্চিত নয়। উত্তর খোঁজার জন্য গবেষকরা ১৮ জন নারী ও ২০ জন পুরুষ
স্বেচ্ছাসেবীর সাহায্য নিলেন। আইওয়া ফেসিয়াল গ্রোথ স্টাডি থেকে এক্স-রে’র
মাধ্যমে ৩০০ তথ্য সংগ্রহ করা হল। এছাড়া তাদের বিভিন্ন শারীরিক পরীক্ষাও করা
হল।

