এইমাত্র পাওয়া খবর :
Home » , » কলমের আঘাতে দৃষ্টিশক্তি হারাবে স্কুলছাত্রী ইমু

কলমের আঘাতে দৃষ্টিশক্তি হারাবে স্কুলছাত্রী ইমু

Written By Unknown on ২০ নভেম্বর ২০১৩ | বুধবার, নভেম্বর ২০, ২০১৩


search engine optimization


কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুরে শিক্ষিকার কলমের আঘাতে দৃষ্টিশক্তি হারাতে বসেছে তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী ফারজানা আক্তার ইমু (১০)। তার চোখের দৃষ্টিশক্তি কমে যাবে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।জেলার বাজিতপুরে শিক্ষিকার কলমের আঘাতে দৃষ্টিশক্তি হারাতে বসেছে তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী ফারজানা আক্তার ইমু (১০)। তার চোখের দৃষ্টিশক্তি কমে যাবে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। ক্লাসে পড়া না পারায় নান্দিনা-ভাগলপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা শাহনাজ বেগম তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী ইমুর চোখে কলম দিয়ে আঘাত করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় পরিবারের সদস্যরা ইমুকে রোববার সন্ধ্যায় জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষিকা শাহনাজ ও স্কুলের প্রধান শিক্ষক নাসরিন জাহানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।শিক্ষিকার কলমের আঘাতে দৃষ্টিশক্তি হারাচ্ছে স্কুলছাত্রী ইমু জানায়, ক্লাসে পড়া না পারায় শিক্ষিকা শাহনাজ বেগম উত্তেজিত হয়ে তার গালে চড় মারেন এবং হাতে থাকা কলম দিয়ে চোখে গুঁতো দেন। সঙ্গে সঙ্গে তার চোখ দিয়ে রক্ত বের হয়। জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চক্ষু বিভাগের চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. শাহজাহান চৌধুরী জানান, শিশুটির চোখে অপারেশন করা হয়েছে। আঘাতে শিশুটির বাম চোখের কর্নিয়া কেটে ভেতরের আইরিশ বেরিয়ে গেছে। তার দৃষ্টিশক্তি কমে যাবে। শতভাগ দৃষ্টিশক্তি ফিরে পেতে অনেক সময় লাগবে।ইমুর বাবা সেলিম মিয়া জানান, তিনি ইউএনওর কাছে ঘটনার ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ করেছেন। প্রধান শিক্ষক নাসরিন জাহান জানান, ঘটনার সময় তিনি স্কুলে ছিলেন না। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. গোলাম মাওলা জানান, শিশুটিকে আঘাত করায় শিক্ষিকা শাহনাজ বেগম ও দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে প্রধান শিক্ষক নাসরিন জাহানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। শাহনাজ বেগমের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
Share this post :
 
Auto Scroll Stop Scroll