রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র সুন্দরবনের জন্য হুমকি
Written By Unknown on ১৩ নভেম্বর ২০১৩ | বুধবার, নভেম্বর ১৩, ২০১৩
সুন্দরবন না বাঁচলে মানুষকে বাঁচানো যাবে না। লাখ লাখ মানুষ প্রাকৃতিক দূর্যোগে জীবন হারাবেন। বাংলাদেশ হয়ে পড়বে অরক্ষিত। বাংলাদেশকে অরক্ষিত করার মতো এ রকম বিদ্যুৎকেন্দ্র করার সরকারি সিদ্ধান্ত জাতীয় স্বার্থের পরিপন্থী। অধ্যাপক আনু মোহাম্মাদ এসব কথা বলেছেন।
বুধবার বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে তেল, গ্যাস, খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির আয়োজনে সুন্দরবন ধ্বংসকারী রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে এসব দাবি জানানো হয়।
অধ্যাপক আনু মোহাম্মদ বলেন, দেশের বড় বড় রাজনৈতিক দলের মধ্য কোনো ঐক্য দেখা যাচ্ছে না। তবে জনগণের সম্পদ লুণ্ঠনে কোনো অনৈক্য দেখা যাচ্ছে না। জনগণের সম্পদকে দেশি-বিদেশি ব্যবসায়ীদের হাতে তুলে দেওয়ার ক্ষেত্রেও কোনো অনৈক্য নেই।এ কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদন থেকে শুরু করে রামপাল, বঙ্গোপসাগর সংশ্লিষ্ট সব ধরনের ইস্যুতে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। এ নির্বাচন হোক বা না হোক ভবিষ্যতের কোনো নিশ্চয়তা দেখা যাচ্ছে না।
আজ রামপাল সফরে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আমাদের আহ্বান আড়াই শ কিলোমিটার দূর থেকে রামপালের ভিত্তি স্থাপন করে যে কলঙ্ক স্থাপন করেছে সরকার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই এ কলঙ্ক মোচন করবে। এ প্রকল্প বাতিল ঘোষণা করবে। এ দাবি আমরা এখনো রাখছি।
আমরা বিভিন্নভাবে প্রমাণ করেছি এ বিদ্যুৎকেন্দ্র কীভাবে বাংলাদেশের জন্য সর্বনাশ বয়ে আনবে। আমাদের সঙ্গে যারা দেশে ও বিদেশে আছেন, আন্তর্জাতিক বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক সংস্থা তারা পরিস্কারভাবেই বলেছেন এ বিদ্যুৎকেন্দ্র যদি হয় সুন্দরবন বাঁচানো যাবে না।এক্ষেত্রে জনগণের সঙ্গে যে প্রতারণা সরকার করেছে তা হলো আড়াই শ কিলোমিটার দূর থেকে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভিত্তি স্থাপন করা। রিমোট কন্ট্রোল ও ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন। এ উদ্যোগ থেকে সরে এসে তা বাতিল ঘোষণা করার দাবি জানানো হচ্ছে।
যদি বাতিল ঘোষণা করা না হয় তাহলে এ কলঙ্কের ভার বর্তমান সরকারকেই বহন করতে হবে। জনগণ কোনোভাবেই এ বিদ্যুৎকেন্দ্র হতে দেবে না। কমিটির আহ্বায়ক প্রকৌশলী শেখ মোহাম্মাদের সভাপতিত্বে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ শেষে তারা মিছিল নিয়ে পল্টন মোড়ের দিকে যান।

