জেলহাজতে আটক বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ ও এমকে আনোয়ারসহ দলটির ৭ নেতার রিমান্ড ও জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।বৃহস্পতিবার মেট্রোপলিটন ম্যজিস্ট্রেট মো. মিজানুর রহমান ও অমিত কুমার দে রিমান্ড ও জামিন আবেদনের শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
মতিঝিল থানার ৩টি পৃথক মামলায় বিএনপির ৬ নেতার মোট ২৭ দিনের রিমান্ড ও জামিন আবেদনের শুনানি শেষে মেট্রোপলিটন ম্যজিস্ট্রেট মো. মিজানুর রহমান রিমান্ড ও জামিন নাকচ করে ৭ কার্যদিবসের মধ্যে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেন।
গত ৬ ডিসেম্বর আসামিদের আদালতে না আনার কারণে হেফাজতের তাণ্ডবে পুলিশ হত্যায় মতিঝিল থানার মামলায় ৭ দিনের রিমান্ড শুনানি হতে পারেনি। ওইদিন মতিঝিল থানার আরও ১২(৫)১৩ মামলায় ওই আসামিদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন জানিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড চেয়েছে পুলিশ।এছাড়াও বৃহস্পতিবার নতুন করে মতিঝিল থানার ১৬(৫)১৩ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আরো ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ।
এদিন আসামি পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রফিকুল হক, অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া, অ্যাডভোকেট খোরশেদ আলম, অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার, খোরশেদ মিয়া আলম, খোরশেদ আলম, ইকবাল হোসেন, বোরহান উদ্দিন, মকবুল ফকির, এজে মোহাম্মদ আলী।শুনানিকালে মার্কিন দুতাবাসের সেকেন্ড সেক্রেটারি অ্যালান ম্যাককার্থি মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মিজানুর রহমানের আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
একইদিন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট অমিত কুমার দে মোহাম্মদপুর থানার একটি মামলায় ১০ দিনের রিমান্ড ও জামিন আবেদন নাকচ করে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও মহানগরের আহ্বায়ক সাদেক হোসেন খোকাকে ১০ কার্যদিবসের মধ্যে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবদের নির্দেশ দেন।এছাড়াও মতিঝিল থানার ৪৪(৯)১৩ মামলায় কেস ডকেট না থাকায় বিএনপির সহ-সভাপতি মেজর (অব.) হাফিজউদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রমকে রিমান্ড ও জামিন শুনানি না হওয়ায় জেলহাজতে পাঠিয়েছে আদালত।
এর আগে গত ২৯ ডিসেম্বর রাতে জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের পর মেজর হাফিজ বের হলে ডিবি পুলিশ তাকে গ্রপ্তার করে।উল্লেখ, গত ৮ নভেম্বর প্রথম আলোর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে যোগদান শেষে ফেরার পথে সোনারগাঁওয়ের সামনে থেকে রাত ৮টা ১০ মিনিটে মওদুদকে আটক করা হয়। একই সময় কাওরান বাজার এলাকা থেকে আটক করা হয় এমকে আনোয়ার ও রফিকুল ইসলাম মিয়াকে। এরপর রাত দেড়টায় গুলশান থেকে আটক করা হয় আব্দুল আউয়াল মিন্টু ও শিমুল বিশ্বাসকে।
