কুড়িগ্রামে দ্বিতীয় দফায় শৈত্য প্রবাহে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা। ঘন কুয়াশা, তীব্র ঠাণ্ডা ও হিমশীতল বাতাসে নাজেহাল এ অঞ্চলের মানুষ।
গত এক সপ্তাহে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালেই শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে ৭ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও শীতজনিত রোগে হাসপাতালে প্রায় আড়াইশ’ শিশু ভর্তি হয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।
এছাড়া বুধবার ভোরে কুড়িগ্রাম সদরের কাঁঠালবাড়ী এলাকায় তীব্র শীতে মৃত্যু হয় নিয়ামত আলী (৫২) নামে এক ভিক্ষুকের। শীতবস্ত্রের অভাবে বুধবার ভোরে নিজ বাড়িতে তিনি মারা যান বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।কুড়িগ্রাম সিভিল সার্জন ডা. লোকমান হাকীম জানান, তীব্র শীতের কারণে হাইপার টেনশন, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়াসহ বিভিন্ন রোগ দেখা দিয়েছে।কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. মোক্তার আলী শীতজনিত রোগে ৭ শিশুর মৃত্যুর কথা স্বীকার করেছেন।
তিনি জানান, তীব্র শীতের কারণে প্রতিদিন হাসপাতালের আউটডোর ও ইনডোরে রোগীদের চাপ বাড়ছে।শীতার্ত মানুষের জরুরি সেবা দিতে স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সব ধরনের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া ৮৫টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে।এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক এ বি এম আজাদ জানান, পরিস্থিতি সামাল দিতে ইতিমধ্যে সরকারের বরাদ্দকৃত ১০ হাজার ৬৪২টি কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা ও ব্যক্তিগত উদ্যোগে কিছু শীতবস্ত্র বিতরণ করেছে। তবে এসব চাহিদার তুলনায় নিতান্তই কম।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জরুরি ভিত্তিতে আরও ১০ হাজার পিস কম্বল চেয়ে ঢাকায় ফ্যাক্সবার্তা পাঠানো হয়েছে বলে তিনি জানান।

