এইমাত্র পাওয়া খবর :
Home » , » সেতু যেন মরণ ফাঁদ, প্রশাসন চুপ

সেতু যেন মরণ ফাঁদ, প্রশাসন চুপ

Written By Unknown on ০৭ জানুয়ারি ২০১৪ | মঙ্গলবার, জানুয়ারি ০৭, ২০১৪

Search Engine Optimization

কক্সবাজারের চকরিয়ায় এলজিইডি’র অর্থায়নে নির্মিত চোয়ারফাঁড়ি-নোয়াপাড়া সংযোগ সেতুর মাঝখানে ভেঙ্গে বিশাল তলদেশে পরিণত হয়ে পড়েছে। গত দুইবছর ধরে সেতুটির এ অবস্থা হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোন মাথা ব্যাথা নেই বললে চলে। ওই সেতুর উপর দিয়ে যানবাহন ও জন চলাচল বর্তমানে হয়ে উঠেছে এক প্রকারের মরণ ফাঁদ। নির্মাণ কাজে ঠিকাদারের অনিয়ম, দুর্নীতি ও নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহার করার কারণে সেতুর এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। জনদুর্ভোগের এ বিষয়টি জনপ্রতিনিধিরা ইতোমধ্যে একাধিকবার সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে অবহিত করলেও সেতুর তলদেশ সংস্কারে কোন ধরণের উদ্যোগ নেয়া হয়নি এ পর্যন্ত। ফলে স্থানীয় হাজার হাজার জনসাধারণ চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে প্রতিনিয়ত।

স্থানীয়রা জানায়, চকরিয়ার সাহারবিল ও পুর্ববড় ভেওলা ইউনিয়নের আট গ্রামের প্রায় ১৫হাজার জনসাধারণের চলাচল সুবিধা নিশ্চিত করতে ১৯৮০ সালে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর চোয়ারফাঁড়ি-নোয়াপাড়া খালের উপর সংযোগ সেতুটি নির্মাণ করে। দীর্ঘ সময় ওই সেতু ব্যবহারের কারণে অবকাঠামোগত ভাবে দুর্বল হয়ে যায়।

পরবর্তীতে উপজেলা এলজিইডি ২০০০সালে সেতুটি পুন:নির্মাণের জন্য টেন্ডার আহবান করে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানান, ওসময় মিনহাজ উদ্দিন ব্রাদার্স নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্টান সেতুটি নির্মাণ কাজ পেয়ে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে যেনতেন ভাবে কাজটি সম্পাদন করে ফেলে। ওই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের অনিয়মের কারণে সল্প সময়ের মধ্যে সেতুর মাঝখানে বিশাল ঢালাই ভেঙ্গে যায়। গত দুই বছর ধরে সেতুর এ অবস্থার কারণে কোন ধরণের যানবাহন চলাচল করতে পারছেনা। এমনকি সেতু হয়ে চলাচলরত লোকজনের মধ্যে অনেকে দুর্ঘটনার শিকারও হয়েছে।

বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করে এলজিইডি চকরিয়া উপজেলা উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো: কামরুজ্জামান তুহিন বলেন, ভারী যানবাহন চলাচলের কারণে সেতুর তলদেশ ভেঙ্গে গেছে। এলাকার জনপ্রতিনিধিরা ইতোপুর্বে ব্যাপারটি এলজিইডিকে জানিয়েছেন। বরাদ্দ না থাকায় এতদিন ধরে সেতুর সংস্কার কাজ করা সম্ভব হয়নি।



Share this post :
 
Auto Scroll Stop Scroll