ধ্বংসের মুখে পার্বতীপুর রেল হাসপাতাল নেই কোন সরকারি উদ্যেগ
Written By Unknown on ০৬ জানুয়ারি ২০১৪ | সোমবার, জানুয়ারি ০৬, ২০১৪
১০৫ বছর পেরিয়ে গেলেও বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা এবং অবহেলার কারণে দিনাজপুরের পার্বতীপুর রেলওয়ে হাসপাতালটির চিকিৎসা সেবা ভেঙ্গে পড়েছে। ব্রিটিশ আমলে নির্মিত এই হাসপাতাটিতে আধুনিকতার কোন ছোঁয়া লাগেনি। আর সংস্কার না হওয়ায় ভেঙ্গে পড়েছে অবকাঠামো। ডাক্তার, নার্স আর জনবলের অভাবে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের যেন দুর্ভোগের শেষ নেই। দিনাজপুরের পার্বতীপুর জংশন মুলত রেলওয়ে শহর। রেল সমৃদ্ধ দিনাজপুর জেলায় রয়েছে ১৭টি রেল স্টেশন। হিলি থেকে চিলাহাটি আর শ্যামপুর থেকে দিনাজপুর হয়ে পঞ্চগড় পর্যন্ত মোট ৪৩টি রেলওয়ের স্টেশনের ১২শত কর্মচারী ও তাদের পরিবারের ৭ হাজার মানুষের চিকিৎসা সেবার জন্য দিনাজপুরের পার্বতীপুরে ১৯০৮ সালের মাঝামাঝি এই হাসপাতালটি নির্মাণ করে ব্রিটিশ সরকারের রেল বিভাগ। ২ একর জমির উপরে স্থাপন করা হয় স্টাফ কোয়ার্টার, স্টোর রুম, এক্সরে রুম ও অপারেশন থিয়েটার সহ ১৬ শয্যা বিশিষ্ট একটি সুসজ্জিত উন্নত মানের হাসপাতাল।
কিন্তু ১৯৮০ সালের পর থেকে এই হাসপাতালটিতে ডাক্তার, নার্স আর জনবলের অভাবে চিকিৎসা সেবা ভেঙ্গে পড়ে। ক্রমে বিলুপ্ত হতে থাকে এক্সরে মেশিন, প্যাথলজি বিভাগ এবং কমতে থাকে ডাক্তার, নার্স আর জনবলের সংখ্যা আধুনিক চিকিৎসার অভাবে রোগী শূণ্য হয়ে পড়ে এই শত বছরের পুরনো ঐহিত্যবাহী হাসপাতালটি। এখানে আধুনিক যন্ত্রপাতি ও প্রয়োজনীয় জনবলের অভাবে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে না। সংস্কারের অভাবে দরজা-জানালা খুলে পড়েছে বহু আগে। বর্ষার মৌসুমে ছাদ ও দেয়াল চুয়ে পানি পড়ায় হাসপাতালের কাগজপত্র ভিজে তছনছ হয়ে যায়। ১ জন ডাক্তার ও ১ জন সিনিয়র নার্স ও ২ জন জুনিয়র নার্স দিয়ে চালানো হচ্ছে হাসপাতালটি।
চেম্বারে গিয়ে কর্তৃব্যরত ডাক্তার খায়রুল বাশারকে পাওয়া যায় নি। জনবলের অভাবে চিকিৎসা নিতে আসা স্বল্পআয়ের রোগীরা নিরুপায় হয়ে ভর্তি হচ্ছেন প্রাইভেট ক্লিনিকগুলোতে। যেখানে তাদের গুনতে হচ্ছে মোটা অঙ্কের টাকা। পার্বতীপুরের এই রেল হপাসালটির ঐহিত্য ও চিকিৎসা সেবা ফিরিয়ে আনতে সরকারের প্রতি আহবান জানালেন বিশিষ্ট বিএনপি নেতা ও পার্বতীপুর পৌর মেয়র এ.জেড. মিনহাজুল হক। সরকারের সহযোগিতা পেলে হাসপাতালটিতে চিকিৎসা নিশ্চিত হবে এবং ঐহিত্যবাহী এই পুরনো হাসপাতালটি আধুনিকতার ছোঁয়া পাবে এমনটি প্রত্যাশা করছেন স্বল্প আয়ের রেল কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
