বগুড়া নিজের স্কুলে নিজেই আগুন দিয়ে স্থানীয়দের গণরোষে পড়েন প্রধান শিক্ষক। এ সময় শিক্ষককে বন্দি করে জনগন বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠলে শাজাহানপুর থানা পুলিশ ও যৌথবাহিনী বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে আনেন। এলাকাবাসীর দাবি বিরোধী নেতাকর্মীদেরকে ফাঁসানো ও সরকারি অনুদান গ্রহনের জন্য এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে। পরে স্থানীয়দের দাবির মুখে স্কুলশিক্ষককে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ ঘটনার পর শাজাহানপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবদুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
সুজাবাদ স্কুলের দফতরি বাবুল হোসেন জানান, প্রধান শিক্ষক আবদুল মান্নান বগুড়া সদরের কলোনী এলাকার বাসিন্দা এবং বগুড়া পৌরসভার ১২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কর্মী। স্থানীয়রা জানায়, মঙ্গলবার সকালে শাজাহানপুর উপজেলার সুজাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল মান্নান সকালে স্কুলে আসেন। হরতালের কারণে এ সময় অন্যান্য শিক্ষকরা স্কুলে উপস্থিত ছিলেন না। এই সুযোগে আবদুল মান্নান স্কুলের দফতরি বাবুল হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে স্কুলের আসবাবপত্রে আগুন লাগিয়ে দিয়ে চিৎকার শুরু করেন।
এ সময় স্থানীয়রা স্কুলের দফতরিকে আটক করলে সে জানায় তার কোনো দোষ নেই। প্রধান শিক্ষক আবদুল মান্নান নিজেই আগুন লাগিয়েছেন। এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে উঠলে পরিস্থিতি বেগতিক দেখে আবদুল মান্নান পালিয়ে যাবার চেষ্টা করেন। পরে ক্ষিপ্ত গ্রামবাসী তাকে স্কুল ঘওে তালাবদ্ধ করে বিক্ষোভ করতে থাকেন।
খবর পেয়ে শাজাহানপুর থানার ওসি পুলশ ফোর্স নিয়ে শিক্ষককে উদ্ধারের চেষ্টা করলে গ্রামবাসী বাধা দেন। পরে সেখানে যৌথবাহিনীর একটি টিম উপস্থিত হয়ে ‘দোষী’ শিক্ষককে শাস্তির আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। পরে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়।
শাজাহানপুর থানার ওসি আবদুল মান্নান জানান, সুজাবাদ স্কুলে আগুন লাগানো এবং প্রধান শিক্ষককে আটকে রাখার খবর পেয়ে শিক্ষককে উদ্ধার করা হয়েছে। শাজাহানপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবদুর রহমান জানান, তিনি খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
নিজ স্কুলে কেন আগুন দিলেন নিজেই প্রধান শিক্ষক
Written By Unknown on ০৮ জানুয়ারি ২০১৪ | বুধবার, জানুয়ারি ০৮, ২০১৪
Labels:
বিচিত্র ঘটনা,
Diverse events

