এইমাত্র পাওয়া খবর :
Home » , » জলবায়ুর প্রভাবে হারিয়ে যাচ্ছে কাঁশবন

জলবায়ুর প্রভাবে হারিয়ে যাচ্ছে কাঁশবন

Written By Unknown on ০৮ নভেম্বর ২০১৩ | শুক্রবার, নভেম্বর ০৮, ২০১৩

Search Engine Optimization

নদীর তীর জুড়ে সাদা কাঁশফুল দেখে উচ্চাসিত হয়ে ছুটে  শিশুরা। তুলে আনে সাদা কাঁশফুল, ছুটছে ফড়িংয়ের পেছনে পেছনে। মাদারীপুরের আড়িয়াল খাঁ ও কুমার নদীর মোহনায় চরমুগরিয়া এলাকায় দৃশ্য এটি। তবে গত বছর এখানে যে পরিমাণ কাঁশবন ছিল তা এবার কমে অর্ধেক হয়ে এসেছে, কমে গেছে কাঁশবন দেখতে আসা দর্শনার্থীর সংখ্যাও। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে হারিয়ে যাচ্ছে মাদারীপুরের নদীর তীরে প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে ওঠা কাঁশবন। মাদারীপুরের পদ্মা, আড়িয়াল খাঁ, কুমার ও পালরদী নদীর তীরে আগের মত কাঁশবনের সারি দেখা যায় না। তবে যেটুকু কাঁশবন আছে তাতেই মুগ্ধ হন এলাকার মানুষ।

সাধারণত এই কাঁশ গাছের সৌন্দর্যের কথা সবাই জানলেও, এর বহুবিধ ব্যবহারের কথা জানে না অনেকেই। গ্রাম এলাকার জ্বালানি ও কম দামে পানের বরজের ছাউনি হিসেবে দক্ষিণাঞ্চলের কাঁশের ব্যবহার বলতে গেলে একান্ত বাধ্যতামূলক।স্থানীয় এক গৃহবধূ জানান, নদীর তীরে জেগে ওঠা চরে জমির মালিকানা যাদের, কাঁশবন শুকিয়ে গেলে সেগুলো কেটে নিয়ে যান তারা। এগুলো জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এছাড়া তাদের কাছ থেকে পানের বরজের মালিকরা কিনে নিয়ে যায় ছাউনি ও বেড়া হিসেবে ব্যবহার করার জন্য। মাদারীপুরের নাজিমউদ্দিন কলেজের শিক্ষার্থী রিফাত হোসেন জানান, ছুটির সময় এখন নদীতে এসেছি মাছ ধরতে।

এক সময় সাদা মেঘের মত কাশবন ছিল এই চরমুগরিয়া এলাকায়। অথচ এখন কাঁশবন অনেক কমে গেছে। মাদারীপুর পরিবেশ সংরক্ষণ ও উন্নয়ন পরিষদের সদস্য সচিব জহিরুল ইসলাম খান জানান, নদীর তীরে যেসব এলাকায় কাঁশবন হয় সেসব এলাকাতে এখন গড়ে উঠেছে অনেক ইটভাটা। কাঁশবন কমে যাওয়ার পেছনে এসব এলাকার বাতাসে কার্বন-ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ বেড়ে যাওয়াকেও দায়ী বলে মনে করেন অনেকেই। কাঁশবন কমে যাওয়ার পেছনে জলবায়ুর পরিবর্তনের প্রভাব থাকতে পারে।

কারণ প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে ওঠা কোন কিছুর পরিবর্তন প্রাকৃতিক পরিবেশের পরিবর্তনই নির্দেশ করে। জ্বালানি বা অন্য কোন কাজে ব্যবহারের জন্য নয়, অন্তত মানুষের সৌন্দর্যপিয়াসী মনের চাহিদার জন্য হলেও নদী তীরে থাকুক আগের মত দিগন্ত-বিস্তৃত কাঁশবন।



Share this post :
 
Auto Scroll Stop Scroll