আজ পরিবহণ ধর্মঘটে জনগণ চরম ভোগান্তির শিকার
Written By Unknown on ০৮ নভেম্বর ২০১৩ | শুক্রবার, নভেম্বর ০৮, ২০১৩
পরিবহণ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খায়রুল মোল্লা হত্যার প্রতিবাদে শুক্রবার বাস ধর্মঘট ডেকেছেন পরিবহণ মালিকরা। ফলে রাজধানীতে পরিবহণ সংকটে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন বিভিন্ন পরীক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ। শুক্রবার সকাল থেকে রাজধানীতে কোনো পাবলিক বাস চলছে না। দুটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি, জেএসসি-জেডিসি ও প্রাথমিক শিক্ষক নিযোগ পরীক্ষা রয়েছে। সকালে রাস্তায় বের হয়ে পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকরা চরম ভোগান্তিতে পড়েন।
শুধু পরীক্ষার্থীই নয়, শুক্রবার ভোর থেকে বিভিন্ন প্রয়োজনে রাস্তায় নেমে ভোগান্তিতে পড়েছেন নগরবাসী। দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করেও গন্তব্যে যাওয়ার মতো কোনো পরিবহণ তারা পাচ্ছেন না। অনেকে কোনো উপায় না পেয়ে পায়ে হেঁটে গন্তব্যের দিকে রওয়ানা হন। বিশেষত নির্দিষ্ট সময়ে হলে উপস্থিত হওয়ার জন্য পরীক্ষার্থীদের চোখে মুখে ছিল উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার ছাপ। হরতালের পর হঠাৎ এই ধর্মঘটে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পরীক্ষার্থী, অভিভাবক ও সাধারণ মানুষেরা। তারা বলেন, এই সময়ে এটা করা মালিকদের জন্য কোনোক্রমেই সমীচীন হয়নি।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঢাকার মতিঝিলে খুন হন খায়রুল মোল্লা। তিনি ডেমরা থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকও ছিলেন। এরপর রাতে ধর্মঘটের ডাক দেয় ঢাকা সড়ক পরিবহণ সমিতি। এর ফলে ঢাকা থেকে সিলেট, চট্টগ্রাম, কুমিল্লাসহ দূরপাল্লার সব রুটেও গাড়ি চলাচল বন্ধ রয়েছে।
ঢাকা সড়ক পরিবহণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক এনায়েতুল্লাহ জানান, শুক্রবার রাজধানীর সায়েদাবাদ টার্মিনালে দিনব্যাপী ধর্মঘট চলবে। এর ফলে, সায়েদাবাদ থেকে বৃহত্তর চট্টগ্রাম, সিলেট, নোয়াখালী ও কুমিল্লা রুটে বাস চলাচল বন্ধ থাকবে।
এছাড়া মহাখালী ও গাবতলী টার্মিনালে দুপুর ২টা পর্যন্ত ধর্মঘট চলবে বলে জানান তিনি। এতে মহাখালী থেকে ময়মনসিংহ এবং উত্তরাঞ্চলের কয়েকটি জেলা ও গাবতলী টার্মিনাল থেকে উত্তরাঞ্চল এবং বরিশালসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে বাস চলাচল বন্ধ থাকবে।

