এইমাত্র পাওয়া খবর :
Home » , » দশম সংসদের ভোটগ্রহণ চলছে : সর্বত্র আতঙ্ক

দশম সংসদের ভোটগ্রহণ চলছে : সর্বত্র আতঙ্ক

Written By Unknown on ০৫ জানুয়ারি ২০১৪ | রবিবার, জানুয়ারি ০৫, ২০১৪

Search Engine optimization
দীর্ঘদিনের জল্পনা-কল্পনার অবসান এবং বিরোধী জোটের আন্দোলন ও হুমকি-ধমকি উপেক্ষা করে ও নিবন্ধিত ৪০টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে ১২টি দলের অংশগ্রহন এবং ২৮ দলের নির্বাচন বয়কটের মধ্য দিয়ে ৫৯টি জেলার ১৪৭ আসনে একতরফা, সমালোচিত ও প্রশ্নবিদ্ধ দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহন রবিবার সকাল ৮টা থেকে আরম্ভ হয়ে এখন পর্যন্ত চলছে। চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। তবে গত দুদিনে সারাদেশের ১১১টি ভোটকেন্দ্রে আগুনের পুড়ে গেছে ব্যালট পেপার। সেসব আসনে ভোটগ্রহণ স্থগিত রয়েছে। এনিয়ে সারাদেশে জনসাধারণের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

এদিকে বাকি ১৫৩টি আসনে একক প্রার্থী থাকায় ওই আসনগুলোতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে না।এ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ভোটারদের নির্বিঘ্ন যাতায়াত নিশ্চিত করতে ৩ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। নিরাপত্তার কাজে সেনাবাহিনীসহ পৌনে ৪ লাখ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সমঝোতা না হওয়ায় বিরোধী দল বিএনপিসহ ২৮টি নিবন্ধিত দলের অংশগ্রহণ ছাড়াই নির্বাচন হতে যাচ্ছে।

৩০০ আসনে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টিসহ ১২টি রাজনৈতিক দলের ৫৪৩ জন বৈধ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মূলত: আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির প্রার্থীদের মধ্যে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। বাংলাদেশের ইতিহাসে এবারই সবচেয়ে কম সংখ্যক রাজনৈতিক দল ও প্রার্থী সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়েছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

ইসির কর্মকর্তারা জানান, দশম সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনে মোট ভোটার ৯ কোটি ১৯ লাখ ৬৫ হাজার ৯৭৭জন। সারাদেশে ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৩৭ হাজার ৭০৮টি ও ভোটকক্ষ ১ লাখ ৮৯ হাজার ৭৮টি। ১৫৩ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায় ওই সব আসনে ভোটগ্রহণ হবে না। বাকি ১৪৭টি আসনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এসব আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৩৯০ জন। এদের বেশিরভাগই আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী। নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা ৪ কোটি ৩৯ লাখ ৩৮ হাজার ৯৩৮ জন। ভোটকেন্দ্র ১৮ হাজার ২০৯টি ও ভোটকক্ষ ৯১ হাজার ২১৩টি।

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৪৭ আসনে ১২টি রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা ৩৯০জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আওয়ামী লীগের ১২০, জাতীয় পার্টির ৬৬, জাতীয় পার্টি-জেপির ২৭, গণতন্ত্রী পার্টি ১, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির ৬, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির ১৬, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের ২১, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের ৩, গণফ্রন্টের ১, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের ২, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের ১, বিএনএফের ২২ এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ১০৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

কমিশনের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, এ নির্বাচনে ১ হাজার ১০৭ জন প্রার্থী হয়েছিলেন। এর মধ্যে এর মধ্যে যাচাই-বাছাইয়ে বাতিল হয় ২৩০ জনের। প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন ৩৩৪ জন। আর বৈধ প্রার্থী ছিল ৫৪৩ জন। তার থেকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ১৫৩ জন নির্বাচিত হন। বর্তমানে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সংখ্যা ৩৯০ জন। এর আগে সর্বোচ্চ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ৪৯ জন নির্বাচিত হন।

এদিকে সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন শেষ করতে ৩ স্তরে সশস্ত্র বাহিনীসহ পৌনে ৪ লাখ সদস্য মোতায়েন করেছে নির্বাচন কমিশন। এ নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনী, বিজিবি, কোস্টগার্ড, র‌্যাব, পুলিশ ও আর্মড পুলিশ মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে নিয়োজিত থাকবে। নির্বাচনে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর ৫০ হাজারের বেশি সদস্য মাঠে রয়েছে।

এ ছাড়া ১৬ হাজার ১৮১ জন বিজিবি, র‌্যাব ৮ হাজার, পুলিশ ৮০ হাজার, আনসার ২ লাখ ২০ হাজার ও উপকূলীয় এলাকায় কোস্টগার্ডের ২ শতাধিক সদস্য মোতায়েন রয়েছে। সাধারণ ও ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্রে ২/৩ জন অস্ত্রসহ পুলিশ এবং পর্যাপ্ত আনসার নিয়োজিত থাকবে।

মেট্রোপলিটন এলাকায় সাধারণ ও গুরুত্বপূর্ণ ভোটকেন্দ্রে যথাক্রমে ৪ ও ৬ জন অস্ত্রসহ পুলিশ এবং পর্যাপ্ত আনসার দায়িত্ব পালন করবে। পার্বত্য এলাকা, দ্বীপাঞ্চল ও হাওড় এলাকায় সাধারণ ও গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে যথাক্রমে ৩ ও ৪ জন অস্ত্রসহ পুলিশ এবং পর্যাপ্ত আনসার নিয়োজিত রয়েছে।



Share this post :
 
Auto Scroll Stop Scroll