এইমাত্র পাওয়া খবর :
Home » , » চট্টগ্রামের কেন্দ্রগুলো ভোটারশূন্য

চট্টগ্রামের কেন্দ্রগুলো ভোটারশূন্য

Written By Unknown on ০৫ জানুয়ারি ২০১৪ | রবিবার, জানুয়ারি ০৫, ২০১৪

Search Engine optimization
কঠোর নিরাপত্তায় চট্টগ্রামের ১৬ আসনের ৯টিতে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। একইসঙ্গে চলছে ১৮ দলের ডাকা হরতাল-অবরোধও। রোববার সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হলেও কেন্দ্রগুলোতে ভোটার উপস্থিতি নেই। কিছু কিছু কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি থাকলেও তা সংখ্যাই খুবই কম।

এদিকে জামায়াত অধ্যুষিত সাতকানিয়ার চরতিসহ বিভিন্ন এলাকায় কেন্দ্রের বাইরে অবস্থান নিয়ে নির্বাচনবিরোধীরা গুলি ছুড়ছে ও ভোটারদের ভয় ভীতি প্রদর্শন করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সাতকানিয়ার চরতি দুরদুরি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার নটু কান্তি বিশ্বাস বাংলামেইলকে বলেন, সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত কোনো ভোটার কেন্দ্রে আসেনি। আমরা অলস সময় কাটাচ্ছি। বাইরে থেকে দুর্বৃত্তরা গুলি ছুড়ছে। কোনোমতে সময়টা পার করে বাড়ি ফিরে যেতে পারলে বাঁচি।

চট্টগ্রাম-১২ পটিয়া আসনে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির দুইজন প্রার্থী হয়েছেন। এই আসনেও নির্বাচনের আমেজ নেই।

পটিয়ার এয়াকুবদণ্ডি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার প্রাণ হরিনাথ বাংলামেইলকে বলেন, ১৪০৯ ভোটের মধ্যে সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ হয়েছে মাত্র ২০টি। এর মধ্যে তিনজন মহিলা। বর্তমানে কেন্দ্রে ভোটার শূণ্য।

সন্দ্বীপের মোস্তাফিজুর রহমান প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে মাত্র ৫টি ভোট গ্রহণ করা হয়েছে।

এছাড়া ফটিকছড়ি, লোহাগাড়া, বাঁশখালীসহ সব নির্বাচনী এলাকায় একই অবস্থা বিরাজ করছে।  

প্রসঙ্গত এবারের সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রামের ১৬ সংসদীয় আসনের মধ্যে ৭টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে যাওয়ায় ভোটগ্রহণ চলছে ৯টি আসনে। এসব আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ২২ জন প্রার্থী।

এসব আসনের ১ হাজার ৪৫টি কেন্দ্রে ৫ হাজার ৫৮৩ ভোটকক্ষে ২৮ লাখ ২৮ হাজার ৩২ জন ভোটার রয়েছেন। এসব কেন্দ্রে ভোট গ্রহণে কাজ করছেন ১ হাজার ৪৫ জন প্রিজাইডিং অফিসার, ৫ হাজার ৫৮৩ জন সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার ও ১১ হাজার ১৬৬ জন পোলিং অফিসার।

এবার চট্টগ্রামে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালী), চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর-পতেঙ্গা), চট্টগ্রাম-২ ফটিকছড়ি, চট্টগ্রাম-৩ (সন্দ্বীপ), চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড), চট্টগ্রাম-১২ পটিয়া, চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা), চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) এবং চট্টগ্রাম-১৬ বাঁশখালী আসনে।

এদিকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চট্টগ্রাম-১ মিরসরাই, চট্টগ্রাম-৫ হাটহাজারী, চট্টগ্রাম-৬ রাউজান, চট্টগ্রাম-৭ রাঙ্গুনিয়া, চট্টগ্রাম-৮ বোয়ালখালী-চান্দগাঁও, চট্টগ্রাম-১০ ডবলমুরিং এবং চট্টগ্রাম-১৪ চন্দনাইশ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে যাওয়ায় এই ৭টি আসনে নির্বাচন হচ্ছে না।

নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে ১ হাজার ৪৫টি ভোট কেন্দ্রে মোতায়েন হচ্ছে সাড়ে ৬ হাজার পুলিশ ফোর্স। এছাড়া থাকছে র‌্যাব, বিজিবি ও সেনাবাহিনী। পুলিশ সূত্র জানায়, প্রত্যেকটি ভোটকেন্দ্রে ৫ জন পুলিশ ১২ জন করে আনসার সদস্য মোতায়েন রয়েছে। প্রত্যেক আসনে কাছাকাছি দুই-তিনটি ভোটকেন্দ্র মিলে একটি মোবাইল টিম এবং ইউনিয়ন ও পৌরসভায় দুটি করে স্ট্রাইকিং ফোর্স মোতায়েন রয়েছে। উভয় টিমে থাকবে ১৫ জন করে পুলিশ সদস্য। ভোটকেন্দ্রের বাইরে দায়িত্ব পালন করছে র‌্যাব, বিজিবি ও সেনা সদস্যরা। নির্বাচনী এলাকায় রোববার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। নির্বাচনে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে নির্বাচনী মাঠে রাখা হয়েছে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।



Share this post :
 
Auto Scroll Stop Scroll