এইমাত্র পাওয়া খবর :
Home » , » চাষিদের মাথায় হাত দেখার কেউ নাই

চাষিদের মাথায় হাত দেখার কেউ নাই

Written By Unknown on ১২ জানুয়ারি ২০১৪ | রবিবার, জানুয়ারি ১২, ২০১৪

Search Engine Optimization

রাজশাহীর উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ। তার সঙ্গে যোগ হয়েছে ঘন কুয়াশা ও হিমেল বাতাস। এর ফলে বোরো বীজতলা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন রাজশাহীর চাষিরা। বোরোর বীজতলায় দেখা দিয়েছে শীতরোগ (কোল্ড ইনজুরি)। ইতোমধ্যে রাজশাহী অঞ্চলে শুরু হয়েছে বোরো আবাদ। এখন চলছে জমি তৈরির কাজ। আর অল্প দিনের মধ্যেই শুরু হবে চারা রোপণ। কিন্তু তার আগেই বোরো বীজতলা নিয়ে সমস্যায় পড়েছেন চাষিরা।

এক দিকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, অপরদিকে দিনের বেলাতেও কুয়াশায় ঢেকে থাকছে আকাশ। কোনো কোনো দিন সূর্যের দেখাও মিলছে না। গভীর রাত থেকে সকাল পর্যন্ত গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মতো কুয়াশা পড়ছে। টানা শৈত্যপ্রবাহ শুরুর কারণে বোরোর বীজতলায় দেখা দিতে শুরু করেছে কোল্ড ইনজুরি। রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, রাজশাহীতে এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি বোরো বীজতলা করেছে চাষিরা। চলতি মৌসুমে ৩ হাজার ৭৪৪ হেক্টর জমিতে বোরো বীজতলা করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। এর বিপরীতে বোরোর বীজতলা হয়েছে ৩ হাজার ৮৫১ হেক্টর জমিতে। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১০৭ হেক্টর বেশি।

রাজশাহীর পবা উপজেলার বড়গাছি এলাকার মোস্তফা জানান, চলতি মৌসুমে তিনি ১০ বিঘা জমিতে বোরো আবাদের পরিকল্পনা নিয়েছেন। সেই হিসেবে বোরো বীজতলাও তৈরি করেছিলেন তিনি। তবে টানা শৈত্যপ্রবাহের কারণে বীজতলায় কোল্ড ইনজুরি দেখা দিয়েছে। সে কারণে বীজতলার অনেক জায়গা নষ্ট হয়ে গেছে। এভাবে শৈত্যপ্রবাহ চললে বোরো বীজতলা সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে যাবে।

মোহনপুর উপজেলা সদর এলাকার মাসুদ রানা জানান, ৪ বিঘা জমিতে ধানের আবাদ করার জন্য তিনি বীজতলা তৈরি করেছেন। তবে অতিরিক্ত ঠাণ্ডার কারণে বীজতলার অনেকখানি অংশ এরইমধ্যে নষ্ট হয়ে গেছে। এদিকে রাজশাহী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের কৃষি প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম এই সমস্যার সমাধান হিসেবে কিছু পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। তিনি জানান, বোরোর বীজতলা বিকেলে পলিথিন দিয়ে ঢেকে সকালে তা সরিয়ে ফেলতে হবে। এর পাশাপাশি প্রতিদিন বিকেলে বীজতলা পানি দিয়ে ঢুবিয়ে রাখতে হবে ও সকালে পানি সরিয়ে ফেলতে হবে।

সার প্রয়োগের ক্ষেত্রে তিনি জানান, এসব ব্যবস্থার পাশাপাশি প্রতি শতকে ২৮০ গ্রাম ইউরিয়া ও ৪০০ গ্রাম করে জিপসাম প্রয়োগ করলে ভালো ফল পাওয়া যাবে। প্রতিকূল আবহাওয়ায় বোরোর বীজতলা রক্ষায় তিনি নিকটস্থ উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চাষিদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।



Share this post :
 
Auto Scroll Stop Scroll