এইমাত্র পাওয়া খবর :
Home » , » পদ্মার অরণ্যে ৪৩ প্রজাতির পাখি

পদ্মার অরণ্যে ৪৩ প্রজাতির পাখি

Written By Unknown on ১২ জানুয়ারি ২০১৪ | রবিবার, জানুয়ারি ১২, ২০১৪

Search Engine Optimization

রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার ফরাদপুর এলাকায় পদ্মা নদীর চরে ৯০ হেক্টর জমির ওপর সরকারী উদ্দ্যেগে গড়ে তোলা ‘অরণ্যে’ ৪৩ প্রজাতির পাখির সন্ধান পাওয়া গেছে। গত শনিবার থেকে শুরু হওয়া মাসব্যাপি পাখি পর্যবেক্ষণ কর্মসূচীর আওতায় ‘বণ্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ’ বিভাগ এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের একদল গবেষক বনটিতে ৪৩ প্রজাতির পাখির অস্তিত্ব লক্ষ্য করেছেন।

বিভাগীয় বন কর্মকর্তা অজিত কুমার রুদ্র জানান, চলতি শীত মৌসুমে ওই বন এবং পদ্মার চরে দেশীয় এবং অতিথি পাখির নিরাপদ বিচরণ এবং অবাধ প্রজনন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রকল্পটি হাতে নেয়া হয়েছে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের প্রফেসর ড.আনিসুজ্জামান মুহাম্মদ সালেহ রেজার নেতৃত্বে জেলা বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য কর্মকর্তা মো. শরিফুজ্জামান, ফরেষ্টার মো. মুরশালিন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ড ক্লাবের সদস্য আল-আমিন শুভ ও আতিকুর রহমান প্রমুখ চরাঞ্চলে দেশীয় এবং অতিথি পাখির বিচরণ নিয়ে গবেষণা করছেন।

মাসব্যাপি পাখি পর্যবেক্ষণের প্রথম দুই দিনেই গবেষকগণ বনটিতে গাঙশালিক, পাকড়া শালিক, গোশালিক, টুনটুনি, দোয়েল, কালো ফিঙে, মাছরাঙা, চড়–ই, বুলবুলি, হলদে পাখি, বাজ, চিল, শ্যামা, শামুক খোল, পানকৌড়ি, ছোট নাথ জিরিয়া, নাকুটি, লাল লতিকা হট্টিটি, নাটাবটের, নীলকান্ত, সাতভায়লা, চোখগেল, চ্যাগা, মেঠো আবাবিল, তিলা মুনিয়া, ধানী তুলিকা, সাদা খঞ্জন, ডাহুক, কুহু, ঘুঘু, পাতি শিলা ফিদা, দাগি ঘাসপাখি, ভোমরা ছোটন, লেঞ্জা লাটেরা, সুঁইচোরা, কানিবক, বড় বগা, পাতি বাটান, চখাচোখি ও সরালি নামের ৪৩ প্রজাতির পাখির উপস্থিতি লক্ষ্য করেছেন।

প্রসঙ্গত, ২০১০-১১ অর্থ বছরে ১ কোটি ৫ লাখ ৮৪ হাজার টাকা ব্যায়ে চরাঞ্চলের ৬৭৫ বিঘা অর্থাৎ ৯০ হেক্টর জমিতে প্রায় তিন কিঃমিঃ এলাকা জুড়ে বিস্তৃত এ বনায়ন প্রকল্পটি চালু করা হয়েছে। বনটিতে বিভিন্ন প্রজাতির ১ লাখ ৩২ হাজার বৃক্ষ রোপণ করা হয়েছে। খুব শিগগিরই পদ্মা চরের এই বনটিকে ‘ইকোপার্ক’ হিসেবে ঘোষণা দিয়ে পাখিদের ‘অভয়ারণ্য’ গড়ে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন বিভাগীয় বন কর্মকর্তা অজিত কুমার রুদ্র।



Share this post :
 
Auto Scroll Stop Scroll